জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা: ইঁদুর দ্রুত বংশ বিস্তারকারী প্রাণী। এক জোড়া ইঁদুর থেকে অনুকূল পরিবেশে বছরে তিন হাজার ইঁদুরের বিস্তার হতে পারে।
মঙ্গলবার কুমিল্লায় জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উপলক্ষে সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে এ তথ্য জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কুমিল্লার উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে এ সেমিনার হয়।
ডিএই কুমিল্লা অঞ্চল, জেলা ও আদর্শ সদর উপজেলার উদ্যোগে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন, সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সেমিনারের প্রধান অতিথি কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে বলেন, ‘ইঁদুর ফসল ও সম্পদের অনেক ক্ষতি করে। একটি ইঁদুর প্রতিদিন তার শরীরের ওজনের ১০ গুণ পর্যন্ত খাবার নষ্ট করে। তার গর্তে ২০ কেজি পর্যন্ত ফসল লুকিয়ে রাখতে পারে। এটি প্রায় ৬০ প্রকার রোগজীবাণু বহন ও বিস্তার করে।
‘ইঁদুর দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে। এক জোড়া ইঁদুর থেকে অনুকূল পরিবেশে বছরে তিন হাজার ইঁদুরের বিস্তার হতে পারে। ইঁদুরের ক্ষতিকর ভূমিকার কথা বিবেচনা করে ১৯৮৩ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।’
প্রতি বছরের মতো এবারও ইদুর মারার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে এ বছর অঞ্চল পর্যায়ে সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধনকারী ৩ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ৩ জন কৃষক, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও একটি উপজেলাকে পুরস্কার দেয়া হয়।
ডিএই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, ব্রি কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিএডিসি কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. নিগার হায়দার খান, কৃষি তথ্য সর্ভিস কুমিল্লার আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা মো. মুশিউল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাহনাজ রহমান। কারিগরি সেশন পরিচালনা করেন ডিএই কুমিল্লার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. সিরাজ উদ্দিন হোসেন।